অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনখুব সহজেই করা যায়। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য অনলাইনে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়।
আবেদন ফরম পূরণ করার পর আবেদনটি সম্পন্ন করার জন্য ১১৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।
আবেদনটি সম্পন্ন করার পর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হতে নির্দিষ্ট কর্মকর্তা এসে মিটার সংযোগের স্থানটি পরিদর্শন করবে এবং সকল ডকুমেন্টস যাচাই বাছাই করবে।
এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের সংযোগ প্রদান করবে।
অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন কিভাবে করতে হয় তা ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হয়েছে। নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন
পল্লী বিদ্যুতের মিটার নেওয়ার জন্য আমাদেরকে কতই না ঝামেলা পোহাতে হয়, কত মানুষকে ধরতে হয়, কত কি করতে হয়, প্রতারণার শিকার হতে হয়, কত টাকা চলে যায়! এসব আর না।
এখন আপনি নিজেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করতে পারবেন, তাও আবার আপনার বাসায় আপনার বেডরুমে শুয়ে থেকে। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না?
বিশ্বাস হবে। এখনি আপনার বেড রুমে চলে যান এবং শুয়ে থেকে নিচে দেওয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করুন। দেখবেন আপনার পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন করা হয়ে গেছে।
আবেদন করা হয়ে গেলে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে পরিদর্শক এসে আপনার জায়গা সহ সবকিছু পরিদর্শন করে যাবে এবং সবকিছু পরিদর্শন করা হয়ে গেলে আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে কয়েকদিনের মধ্যে আপনি একটি মিটার পেয়ে যাবেন।
চলুন আর সময় না নষ্ট না করে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার এর জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় সেটি আমরা জেনে নিই।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম
আপনি যদি নতুন কোথাও বসতি স্থাপন করেন এবং সেখানে যদি আপনার নতুন মিটার লাগে সেক্ষেত্রে আপনি নতুন মিটারের আবেদনের জন্য সরাসরি পল্লী বিদ্যুতের মিটারে অফিসে যাওয়া লাগবেনা।
এই কাজটি আপনি বাসায় বসে করতে পারবেন।
- পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আপনাকে প্রথমত পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- আবেদন ফরমটি পূরণ করার পর সেখানে আপনার বসতবাড়ি সংক্রান্ত কিছু ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে।
- সেই সাথে আপনার ছবিও আপলোড করতে হবে। এরপর পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন করা হয়ে গেলে এর জন্য আপনাকে নতুন মিটারের আবেদন ফি হিসেবে ১১৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
- এরপর আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
- এটি করলেই আপনার পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন করা সম্পন্ন হয়ে যাবে। মিটারের জন্য আবেদন করা হয়ে গেলে নিশ্চিন্তে থাকুন।
- নির্দিষ্ট একটি সময় পর পরিদর্শক এসে আপনার জায়গায় জমি পরিদর্শন করে গিয়ে আপনার মিটারের আবেদনটি গ্রহণ করবেন এবং কয়েকদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদনের জন্য কি কি জিনিস প্রয়োজন হবে
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার জন্য ডকুমেন্টস হিসেবে আপনার বেশ কিছু জিনিস প্রয়োজন হতে পারে। সেগুলো নিচে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো-
- আবেদনকারীর নাম ও মোবাইল নাম্বার
- আবেদনকারীর ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র
- বিস্তারিত ঠিকানা
- জমির মালিকানার তথ্য হিসেবে খতিয়ান
- আপনি যেই ট্রান্সফর্মার হতে সংযোগ নিবেন সেই ট্রান্সফর্মার হতে সেবা গ্রহণকারী পার্শ্ববর্তী যে কোন ব্যক্তির বহি নং এবং হিসাব নং
- বৈদ্যুতিক খুঁটি হতে আপনার বাড়ির দূরত্ব (ফিট হিসেবে)
আপাতত এইগুলো ডকুমেন্ট হলেই আপনার পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য আবেদন সম্পন্ন করা হয়ে যাবে।
অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম
এবার চলুন শুয়ে শুয়ে আপনি কিভাবে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করবেন সেটি আমরা জানবো ধাপে ধাপে। এর জন্য অবশ্যই নিচে দেওয়া প্রত্যেকটি ধাপ খুব ভালোভাবে অনুসরণ করুন।
- অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদনের জন্য প্রথমেই আপনার স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থেকে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
- এখানে ভিজিট করলে আপনার সামনে একটি পেইজ চলে আসবে। এখান থেকে উপরে বেশ কিছু মেনু পাবেন।
- মেনু থেকে আবেদন অপশন থেকে ‘আবেদন করুন’ অপশনে চলে যান।
- এখানে ক্লিক করলে আপনার একটি আবেদন ফরম চলে আসবে।
- এই আবেদন ফরমটি আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে খুব ভালোভাবে পূরণ করতে হবে।
- এখানে একটি বিষয় খেয়াল করবেন যেসব অপশনের ডান পাশে লাল চিহ্ন দেওয়া রয়েছে এই অপশন গুলো আপনাকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আর যেগুলোর পাশে লাল দাগ দেওয়া নেই সেগুলো পূরণ না করলেও চলবে।
- এখান থেকে প্রথমেই ‘সমিতির নাম’ রয়েছে অর্থাৎ আপনি কোন সমিতির অধীনে আপনার পল্লী বিদ্যুৎ মিটার নিতে চান সেই সমিতি এখানে সিলেক্ট করে দিতে হবে।
- আপনার এলাকা অনুযায়ী এটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। যদি আপনার এটি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনার পার্শ্ববর্তী কোন বিদ্যুৎ গ্রাহকের কাছ থেকে এটি জেনে নিবেন যে তারা কোন সমিতি থেকে এটি গ্রহণ করেছেন।
- এরপর ‘জোনাল অফিস’ রয়েছে। এটিও জেনে নিতে পারবেন তাদের কাছ থেকে।
- এরপর নিচে দেখবেন ‘সংযোগ’ অপশন রয়েছে। এখানে সংযোগের ট্যারিফ হিসেবে এলটিএ আবাসিক সিলেক্ট করুন যদি আপনি আপনার বাসা বাড়িতে এটি নিতে চান। বাসাবাড়ি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ক্ষেত্র বিশেষে অপশন বাছাই করতে হবে।
- এরপর চলে আসুন ‘আবেদনকারীর বিবরণ’ সেকশনে। এখানে আবেদনকারীর নাম বাংলায় খুব ভালো করে লিখুন।
- এরপরে পিতার নাম এবং মাতার নাম লিখুন। সেই সাথে স্বামী স্ত্রীর নাম লিখতে হবে।
- এরপর জন্ম তারিখ অবশ্যই ইংরেজিতে প্রদান করবেন।
- এরপর জাতীয়তা হিসেবে অবশ্যই ‘বাংলাদেশী’ সিলেক্ট করতে হবে।
- এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, মোবাইল নাম্বার, লিঙ্গ, এই অপশন গুলো খুব ভালোভাবে পূরণ করুন।
- তবে এখানে আরো কিছু অপশন রয়েছে যেমন পাসপোর্ট, ইমেইল, ফোন নাম্বার এই তথ্যগুলো বাধ্যতামূলক নয়। তবে আপনার ফোন নাম্বারটি অবশ্যই প্রদান করুন।
- এরপর ‘স্থায়ী ঠিকানা’ অপশনে চলে আসুন। এখানে স্থায়ী ঠিকানা সেকশনে যতগুলো তথ্য দিতে বলবে সব গুলো তথ্য খুব ভালোভাবে পূরণ করে নিন।
- এরপর এই স্থায়ী ঠিকানায় যদি আপনি আপনার বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে চান তাহলে স্থায়ী ঠিকানা সেশন এর নিচে একটি বক্সের মধ্যে দেখবেন ‘প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলে ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করুন’ অর্থাৎ এই ঠিকানাটাই যদি আপনার বিদ্যুৎ সংযোগের স্থান হয় তাহলে এখানে টিক চিহ্ন দিন। এটিতে টিক চিহ্ন দিলে পরের সেকশনটি আপনাকে পূরণ করতে হবে না।
- তবে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংযোগস্থলের বিবরণে আপনার জমি সংক্রান্ত তথ্যগুলো রয়েছে যেমন মৌজা, দাগ, খতিয়ান, জমির মালিকানার ধরন, জমির আইনগত মালিকের নাম ইত্যাদি তথ্য গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
- এই তথ্যগুলো পূরণ করা হয়ে গেলে জিওগ্রাফিক তথ্য সেকশনে চলে আসুন। এখানে রয়েছে ‘নিকটবর্তী সার্ভিস পোল হইতে দূরত্ব।‘ এই জায়গায় আপনার বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আপনার মিটার সংযোগের স্থানের মধ্যে ফিট হিসেবে যতটা দূরত্ব রয়েছে সেই দূরত্বটা এখানে উল্লেখ করুন।
- এরপর ‘একই ট্রান্সফর্মারের আওতায় পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের বই নং‘ সেটি ইংরেজদের লিখতে হবে। হিসাব নম্বর লিখতে হবে।
- এরপর নিচে আরো দুইটি অপশন পাবেন, এ দুটি পূরণ করলে ভালো, না করলে সমস্যা নেই।
এরপর চলে আসুন কানেকশনের বিবরণ সেকশনে। এখানে আপনি আপনার বাসা বাড়িতে লাইট, ফ্যান, রেফ্রিজারেটর কয়টি করে চালাতে চান সেগুলো এখানে উল্লেখ করে দিতে হবে।
এই তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়ে গেলে লোড এবং মোট লোড এগুলো আপনার অটোমেটিক্যালি পূরণ হয়ে যাবে। এরপর নিচে মোট লোডের সংখ্যা চলে আসবে।
এগুলো করা হয়ে গেলে সবশেষে আপনার ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং খারিজ এই তিনটি তথ্যের ডকুমেন্টস স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। এই ডকুমেন্টগুলোর ডান পাশে কি রকম সাইজ আপলোড করতে হবে সেই সাইজ গুলো লেখা আছে।
এই সাইজ অনুযায়ী আপনাকে এই ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে হবে।
এরপর একটি লেখা দেখবেন সেটি হচ্ছে ‘আমি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর নিম্নে উল্লেখ্য পরিষেবা শর্তাবলির সাথে একমত হচ্ছি‘ এই লেখার পাশে টিক চিহ্ন দিন এবং সবশেষে ক্যাপচা উত্তরবক্সে বসিয়ে দিয়ে ‘সংরক্ষণ করুন‘ বাটনে ক্লিক করুন।
এটি করা হয়ে গেলেই আপনার আবেদনটি অনলাইনে সম্পন্ন হবে। আবেদনটি করার পর অবশ্যই একটি প্রিন্ট কপি নিয়ে রাখুন। আবেদনটি যখন সংরক্ষণ করা হয়ে যাবে তখন আপনি একটি ট্রাকিং নাম্বার এবং একটি পিন নাম্বার পাবেন।
এই দুইটি তথ্য যে কোন জায়গায় খুব ভালো করে লিখে রাখুন কারন এই দুটি তথ্য আপনার অবশ্যই পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে।
হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করা
আপনার পল্লী বিদ্যুৎ আবেদন হয়ে যাওয়ার পর নতুন মিটার সংযোগের জন্য আপনার বাসায় হাউস ওয়ারিং নিশ্চিত করতে হবে।
হাউস ওয়্যারিং নিশ্চিত করা হয়ে গেলে আপনার মিটার চলে আসবে। এজন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে আপনার বাসায় হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করে সেটি অনলাইনে আপনাকে সাবমিট করতে হবে।
হাউস ওয়ারিং নিশ্চিত করার প্রমাণ হিসেবে প্রয়োজন হবে গ্রাউন্ড রড ক্রয়ের মেমো। এই মেমোটি আপনাকে আপলোড করে দিতে হবে।
- হাউস ওয়ারিং নিশ্চিত করার জন্য আপনি যেই লিংক হতে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করেছেন সেখানে চলে যান।
- সেখানে উপরের মেনু থেকে ‘আবেদন’ অপশনে চলে আসুন।
- এখান থেকে আপনাকে ‘হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করুন’ অপশনে চলে যান।
- এই লিংকে ক্লিক করার পর এখানে ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার দিতে হবে যেটি আপনি পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের পর পেয়েছিলেন।
- সুতরাং ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার প্রদান করে আপনার গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোটি স্ক্যান করে আপলোড করুন।
- সেই সাথে বাড়ির ঠিকানা লিখে ক্যাপচা কোডটি ভালোভাবে পূরণ করে ‘সাবমিট করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার হাউস ওয়ারিং নিশ্চিত হয়ে যাবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদনের ফি পরিশোধ করার নিয়ম
অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করার পর আবেদনটি নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আবেদনের ফি পরিশোধ করতে হবে। আবেদন ফি ১১৫ টাকা।
এই ফি আপনি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সরাসরি নগদ পরিশোধ করতে পারবেন অথবা আপনার রকেট একাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।
রকেট একাউন্টের মাধ্যমে সংযোগ ফি পরিশোধ করতে হলে প্রথমে *322# ডায়াল করে নিচে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
তবে সব থেকে ভালো হয় সরাসরি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে এই তার টাকাটা পরিশোধ করা।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের পর মিটার পেতে কতদিন সময় লাগবে?
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের পর সাধারণত এটি তিন মাসের মত সময় নিতে পারে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের পর তিন মাস, ছয় মাস পর হয়ে যায় তবুও কোন খোঁজ থাকে না। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উপর।
তবে আপনার যদি অনেক বেশি দেরি হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার কাজ হচ্ছে আবেদনকৃত অনলাইন কপিটির একটি প্রিন্ট কপি নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা।
অনেক ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদনের পরে সেই আবেদনটি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাজের চাপে এড়িয়ে যেতে পারে। এজন্য আপনার উচিত হবে তাদের সাথে সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করা।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের অবস্থা চেক করার উপায়
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের পর সেই আবেদনটি কোন পর্যায়ে রয়েছে, গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সেটি চেক করার জন্য একটি পদ্ধতি রয়েছে।
এটি চেক করলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার পল্লী বিদ্যুৎ মিটার বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক গৃহীত হয়েছে কিনা। যদি হয় তাহলে আপনার মিটার কবে আসবে সে সকল সংক্রান্ত তথ্যগুলো পাওয়া যায়।
- পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন এর ফলাফল জানার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
- এখানে আপনার আবেদনের ট্রাকিং এবং পিন নাম্বার দিয়ে ফলাফল জানতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার কন্টাক্ট নাম্বার
অনেক ক্ষেত্রে আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ মিটার অফিসে যাওয়ার সুযোগ থাকে না।
এক্ষেত্রে আমরা বাসায় বসে কন্টাক্ট নাম্বারে ফোন করে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার থেকে সাহায্য নিতে পারি। পল্লী বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যেকোনো সাহায্যের জন্য আপনি নিচে দেওয়া কন্টাক্ট ইনফরমেশন অনুযায়ী তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
Bangladesh Rural Electrification Board
- Address: Head Office, Nikunja-2, Khilkhet, Dhaka-1229
- Telephone: 88-02-8916424-28, 8900331, 8900335
- Fax: 88-02-8900611
- Website: www.reb.gov.bd
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হলো।
বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের পর মিটার পেতে কত দিন সময় লাগে?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের পর মিটার পেতে অনেক দিন সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।
আবেদনের পর বিদ্যুৎ অফিস থেকে আপনার মিটার সংযোগের স্থানটি তারা পরিদর্শন করবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিন মাসের মধ্যে আপনাকে মিটার প্রদান করা হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি কত টাকা?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের অনলাইন প্রাথমিক আবেদন ফি ১০৫ টাকা যেটি আপনাকে রকেট বা ডাচ বাংলা ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে দেরি হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের সংযোগ পেতে দেরি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হচ্ছে আবেদনে ভুল তথ্য প্রদান করা। আপনি আবেদনের সময় যদি ভুল তথ্য প্রদান করেন তাহলে এটি বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক বাতিল করে দেওয়া হবে।
শেষ কথা
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে দেরি হওয়ার অন্য একটি কারণ হচ্ছে আবেদন ফি পরিশোধ না করা।
আবেদন ফি পরিশোধ না হলে এটি পল্লী বিদ্যুৎঅফিস কর্তৃক গৃহীত হবে না। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে দেরি হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসের অবহেলা।
অনেক বেশি দেরি হয়ে গেলে আপনার উচিত হবে সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা বা কন্টাক্ট ইনফরমেশন অনুযায়ী তাদের সাথে কথা বলা।
তো বন্ধুরা এটি হচ্ছে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের নিয়ম। আশা করি এই নিয়মগুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যায় পড়ে যান সে ক্ষেত্রে আপনি আমাদেরকে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন। আমরা আপনাকে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে।