ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি অথবা নির্বাচন অফিস হতে দেওয়া স্লিপ নাম্বারটি প্রয়োজন হবে। সেই সাথে জন্ম তারিখটি প্রয়োজন হবে। এই তিনটি তথ্য দিয়ে একটি স্মার্টফোনের সাহায্যে অতি সহজেই ভোটার আইডি কাড চেক করা যাবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পর সেটি প্রয়োজনে ডাউনলোড করেও নেওয়া যাবে।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পর যদি কোন তথ্য ভুল দেখা যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি সেখান থেকেই ভোটার আইডি কার্ডের যেকোনো তথ্য সংশোধন করে নিতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে চেক করবেন, কিভাবে ডাউনলোড করবেন সেটি আজকের আলোচনায় খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।
Voter ID Card Check BD
যারা নতুন ভোটার রয়েছেন তারা নতুন ভোটার হওয়ার পর একটা উত্তেজনার মধ্যে থাকেন।
তাদের নতুন ভোটার আইডি কার্ড হবে, তারা সেই ভোটার আইডি কার্ড চেক করবেন। এমন একটা উত্তেজনার মধ্যে থাকা অবস্থায় অনেকেই ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশনের কয়েকদিন পরেই ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নিতে চান।
ভোটের আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার পর সেটি হাতে পেতে তিন মাসের মত সময় লাগতে পারে।
এই তিন মাসের মধ্যে যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে সেটি আপনি চেক করে নিতে পারবেন এবং সেই সাথে ডাউনলোড করে অন্যান্য কাজগুলো সমাধান করতে পারবেন।
তবে ভোটার আইডি কার্ড সাধারণত চেক করা হয় যে ভোটার আইডি কার্ডে কোন তথ্য ভুল থেকে গেল কিনা এবং সমস্ত তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা।
এ সকল কিছু জানার জন্যই মূলত ভোটার আইডি কার্ড চেক করা হয়। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য যে সকল কাজগুলো করা দরকার সেগুলো নিচে উপস্থাপন করা হয়েছে।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
এই পর্যায়ে আমরা মূল আলোচনায় চলে যাব সেটি হচ্ছে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম সম্পর্কে। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক কিভাবে করবেন সেটি জানার জন্য নিচের ধাপ গুলো খুব ভালোভাবে ফলো করুন।
প্রথম ধাপঃ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের কাজটি অত্যন্ত সহজ।
শুধুমাত্র আপনাকে যেই তথ্যগুলো প্রদান করতে বলা হবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের সময় যেই তথ্যগুলো প্রদান করা হয়েছে বা আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী এই একাউন্টের সমস্ত তথ্য গুলো পূরণ করে নিতে হবে।
- একাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রথমে ভিজিট করুন Bangladesh NID Application System
- এখানে ভিজিট করার পর প্রথমেই দেখুন ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর’ অথবা ভোটার ‘ফরম নম্বর’ টি দিতে বলবে। সুতরাং এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার অথবা নির্বাচন অফিস হতে পাওয়া ভোটার ফর্ম নাম্বারটি প্রদান করুন।
- এরপর নিচে আপনার ‘জন্ম তারিখ’ প্রদান করুন।
- এরপর সবশেষে যে ‘ক্যাপচা’ টি দেওয়া থাকবে এটি সঠিকভাবে উত্তর বক্সে বসিয়ে দিয়ে সাবমিট বাটনে প্রেস করুন।
দ্বিতীয় ধাপঃ বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করা
- দ্বিতীয় ধাপে এসে আপনার ‘বর্তমান ঠিকানা’ এবং ‘স্থায়ী ঠিকানা’ প্রদান করতে হবে।
- আপনার এনআইডি কার্ডে যে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করা হয়েছে সেই এনআইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী এখানে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
- এই তথ্যগুলো প্রদান করার পর ‘সাবমিট’ বাটনে প্রেস করুন।
তৃতীয় ধাপঃ মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন
- তৃতীয় ধাপে এসে আপনাকে ‘মোবাইল নাম্বার’ প্রদান করতে হবে।
- এখানে আপনি ভোটার আইডি কার্ড করার সময় যে মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলেন সেই মোবাইল নাম্বারে একটি কোড যাবে।
- যদি আপনি অন্য মোবাইল নাম্বার দিতে চান তাহলে এখানে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
- মোবাইল নাম্বার প্রদান করার পর পরবর্তী পেজে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি এসএমএস চলে যাবে। সেখানে যাওয়া কোডটি এখানে সঠিকভাবে বসিয়ে দিয়ে ‘বহাল’ বাটনে প্রেস করুন।
তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।
তৃতীয় ধাপঃ এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ইন্সটল করা
ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য বা ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য তৃতীয় ধাপে এসে আপনাকে NID Wallet নামক একটি অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে হবে প্লে স্টোর থেকে।
- তবে এই অ্যাপটি অন্য কোন ফোনে ইন্সটল করে নিলে ভালো হয় কারণ অন্য ফোনে অ্যাপটি ইন্সটল করে নিয়ে সেই অ্যাপটি থেকে আপনার নিজের ফোনে এনআইডি চেক করার যে পর্যায়ে ছিলেন সেই পর্যায়ে একটি কিউ আর কোড দেওয়া থাকবে।
- এই কোডটি অন্য একটি ফোনে স্ক্যান করে নিতে হবে। তবে আপনার যদি অন্য কোন ফোন না থাকে তাহলে আপনি নিজের ফোন দিয়েও এটি করতে পারবেন।
- এর জন্য এনআইডি চেক করার যে পর্যায়ে ছিলেন সেই পর্যায়ে দেখবেন একটি QR কোড দেওয়া রয়েছে।
- এই কিউ আর কোডটি কপি করার একটি অপশন রয়েছে।
- এখানে কিউ আর কোডটি কপি করে নিন এবং আপনার এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটিতে পেস্ট করে নিন।
তবে সব থেকে ভালো হয় এনআইডি চেক করার পূর্বেই এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ইন্সটল করে নেওয়া।
তাহলে আপনাকে আর এই ঝামেলাটা পোহাতে হবে না। এনআইডি চেক করার পূর্বেই যদি আপনি এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপটি ইন্সটল করে নেন তাহলে এটি অটোমেটিক্যালি আপনার কিউআর কোড স্ক্যান করে নিবে।
চতুর্থ ধাপঃ ফেইস ভেরিফিকেশন
- উপরোক্ত ধাপগুলো সম্পন্ন করা হয়ে গেলে এই ধাপে এসে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
- যার ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে চাচ্ছেন তার ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য যে ফোনে এনআইডি ওয়ালেট রয়েছে সেই এনআইটি ওয়ালেট থেকে কিউআর কোডটি স্ক্যান করার পর এখানে Start Face Verification নামে একটি অপশন চলে আসবে। এখানে ক্লিক করতে হবে।
- এখানে ক্লিক করার পর ফোনের ক্যামেরা অন হয়ে যাবে।
- সম্পূর্ণ আলো অবস্থায় এখানে ক্যামেরা বরাবর চোখ রাখতে হবে।
- এরপর চোখ হালকা বন্ধ করে আবার খুলতে হবে।
- এরপর ফেস ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে হওয়ার জন্য মাথা ডানে এবং বামে একবার হালকা করে ঘোরাতে হবে।
- এগুলো করা হয়ে গেলে অটোমেটিক্যালি ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
পঞ্চম ধাপঃ পাসওয়ার্ড সেটআপ করা
- ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পঞ্চম ধাপে এসে একটি পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিতে হবে।
- এখানে আপনার একটি প্রোফাইল তৈরি হয়ে গেলে এই প্রোফাইলটি থেকে পরবর্তীতে আপনার ভোটার আইডি কার্ড যেকোনো সময়ে ডাউনলোড অথবা যেকোন তথ্য সংশোধনের জন্য এই প্রোফাইলটি থেকেই আপনি কাজ করতে পারবেন।
- এজন্য পরবর্তীতে যাতে আবার যাতে ফেস ভেরিফিকেশন এর কাজটি করতে না হয় এজন্য এখানে আপনার পছন্দ মতো একটি পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিন।
ষষ্ঠ ধাপঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক অথবা ডাউনলোড
- ষষ্ঠ ধাপে এসে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ভোটার আইডি কার্ডটি চেক করে নিতে পারবেন।
- এখানে চাইলে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
- আপনার প্রোফাইলের নিচে দেখবেন ‘ডাউনলোড’ নামক একটি বাটন রয়েছে। এই ডাউনলোড বাটনে প্রেস করলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি পিডিএফ আকারে আপনার মোবাইলে সেভ হয়ে যাবে।
- এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের সামনে এবং পেছনের অংশটি রয়েছে। এখান থেকে আপনি এটি চেক করে নিতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড যাচাই: এন আই ডি কার্ড যাচাই
ভোটার আইডি কার্ড যাচাই অথবা এন আই ডি কার্ড যাচাই করার জন্য উপরে যেই পদ্ধতিটি আলোচনা করা হয়েছে সেই পদ্ধতি ফলো করতে পারেন।
এজন্য প্রথমেই ভিজিট করুন ওয়েব সাইটে। ভিজিট করার পর আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার অথবা নির্বাচন অফিস থেকে প্রদত্ত ফরম নাম্বারটি প্রদান করুন।
এরপর নিচে আপনার জন্ম তারিখ প্রদান করুন। সবশেষে নিচের ক্যাপচাটি সঠিকভাবে উত্তর বক্সে বসিয়ে দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
এর পরবর্তী পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে এবং মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করতে হবে।
এরপর এনআইডি ওয়ালেট নামক একটি অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে সেটি দ্বারা ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
এগুলো করা হয়ে গেলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড যাচাই অথবা এন আই ডি কার্ড যাচাই করে নিতে পারবেন। সহজভাবে এনআইডি কার্ড যাচাই অথবা ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য উপরে দেওয়া পদ্ধতিটি ফলো করুন।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড চেক সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
এই পর্যায়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর প্রদান করা হয়েছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে এখান থেকে সেই প্রশ্ন উত্তর দেখে নিতে পারেন।
ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে কি কোন প্রকার ফি এর প্রয়োজন আছে?
উত্তরঃ ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে কোন প্রকার ফি প্রযোজ্য হবে না। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।
শুধুমাত্র নাম দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যাবে?
উত্তরঃ প্রিয় ভিজিটর, শুধুমাত্র নাম দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা সম্ভব নয়। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার ক্ষেত্রে নামের প্রয়োজন হয় না। ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বারটি অথবা ফরম নাম্বারটি এবং জন্ম তারিখ প্রয়োজন হবে।
আমি ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশনের সময় যেই মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলাম ওই মোবাইল নাম্বারটি ছাড়া অন্য মোবাইল নাম্বার কি ভোটার আইডি কার্ড চেক করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারব?
উত্তরঃ সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশনের সময় যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন ওই মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করা উত্তম। তবে আপনি চাইলে অন্য মোবাইল নাম্বারও ব্যবহার করতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা হবে না।
বারবার ভুল তথ্য দেওয়ার ফলে এনআইডি অ্যাকাউন্টে লক হয়ে গেছে। এখন আমার করনীয় কি?
উত্তরঃ বারবার ভুল তথ্য দেওয়ার ফলে যদি আপনার এনআইডি অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যায় তাহলে এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কিছুদিন পরে অটোমেটিকলি ঠিক হয়ে যাবে। সুতরাং ৭ থেকে ১৫ দিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।
আমি ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেটি কখন ডেলিভারি হবে সেটা কিভাবে জানতে পারব?
উত্তরঃ আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন এবং জানতে চান যে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের স্মার্ট কার্ডটি আপনার হাতে কবে চলে আসবে, সেই ডেলিভারির সময় জানার জন্য এসএমএস করুন NID<Space>Form Number<Space>Date of Birth as DD-MM-YY এবং এই এসএমএস টা পাঠিয়ে দিন ১০৫ নম্বরে।
তাহলে একটি ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে আপনার এনআইডি কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
যদি আপনার এনআইডি কার্ডটি ডেলিভারির জন্য রেডি হয় তাহলে সেটিও জানিয়ে দেওয়া হবে। যদি ডেলিভারির জন্য রেডি হয়ে থাকে তাহলে আপনার নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপনার এনআইডি কার্ড টি সংগ্রহ করুন।
শেষ কথা
ভোটার আইডি কার্ড চেক অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র চেক অথবা এন আইডি কার্ড চেক করার জন্য উপরে দেওয়া পদ্ধতিটিই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে গিয়ে যদি ভোটার আইডি কার্ড যদি অনলাইনে শো না করে তাহলে চিন্তা করবেন না।
অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সাইট গুলোতে অনেক বেশি ভিজিটর আসার কারণে সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে একটু পরে আবার চেষ্টা করুন। তবে একটি কথা মনে রাখবেন এনআইডি কার্ড চেক করার ক্ষেত্রে উপরের পদ্ধতি গুলো ফলো করার সময় কোন ভুল তথ্য প্রদান করবেন না।
তিনবার কোন ভুল তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে আপনার এনআইডি অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যেতে পারে।
সুতরাং এ ক্ষেত্রে সাবধান থাকবেন। এনআইডি কার্ড চেক অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র চেক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থেকে থাকলে সেটি আমাদেরকে করতে পারেন। আমরা আপনাকে উত্তর দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব।